হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়নের হাড়িয়া ও মিরনগর গ্রামের দক্ষিন দিক দিয়ে প্রবাহিত বোয়ালিয়া নদী ও নদীতীরবর্তী জমি থেকে ড্রেজার মেশিনে মাটি আহরণ করে ট্রাক্টরের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী টি এন্ড সি ইটভাটা সহ বিভিন্ন মিল কারখানা সরবরাহ করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হচ্ছে একটি প্রভাবশালী দুর্বৃত্তচক্রের লোকজন।অবাধে মাটি উত্তোলনের ফলে পরিবেশ ও প্রতিবেশী বিনষ্ট হচ্ছে।হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমি।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, এমন বিধ্বংসী কর্মকান্ডের দৃশ্য। উপজেলার এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হাইওয়ে ইন হোটেল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার পুর্বে হাড়িয়া ও মিরনগর গ্রামের দক্ষিনে ও হরিশ্যামা গ্রামের পশ্চিমে বোয়ালিয়া নদী থেকে প্রতিদিনই ট্রাক্টর ভর্তি মাটি টি এন্ড সি ইটভাটা সহ বিভিন্ন মিল কারখানা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এমন তথ্য পাওয়ার পর
সরেজমিনে শুক্রবার ১০ ফেব্রুয়ারী বিকালে ওই এলাকায গিয়ে দেখা যায় কয়েকটি এক্সকেভেটর ও ড্রেজার মেশিন দিয়ে একই সাথে নদী থেকে বালি ও নদীতীরবর্তী ফসলি জমি থেকে মাটি উত্তোলন করে ট্রাক্টরে ভর্তি করছেন ৮ থেকে১০ জন শ্রমিক।সেখানে শ্রমিকদের থাকা খাওয়ার জন্য তাঁবু খাটানো রয়েছে।শ্রমিকদের সাথে কথা বলেই জানা যায় দীর্ঘদিন ধরেই এভাবে বালি ও মাটি আহরণ করে মিল কারখানা ও ইটের ভাটায় চড়ামূল্যে বিক্রী করে আসছেন হাড়িয়া গ্রামের রাষ্টু মিয়া নামের এক লোক।রাষ্টু মিয়ার সাথে আরো অনেকেই রয়েছেন বলেও তারা জানান।তবে তাদের নাম বলতে পারেন নি।নদীর দুই দিকের জমিতে অন্তত ৭ থেকে ৮ টি জমির মাটি কেটে পুকুর বানানো হয়েছে।শ্রমিকেরা জানান,পুকুর বানানো উদ্দেশ্য নয়।মাটি পাচারই আসল উদ্দেশ্য।এসব জমি পুকুরে পরিনত হওয়ায় আশেপাশের অনেক জমি ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে পড়েছে।জায়গাটি খুব দূর্গম।ক্ষেতের আইল ধরে পায়ে হেঁটে যাওয়া ছাড়া যাতায়াতের আরো কোনো রাস্তা নেই।মাটি ও বালি ভর্তি ট্রাক্টর দিনরাত চলাচল করায় একমাত্র গোপাটটিও পায়ে হাঁটার অযোগ্য হয়ে পড়েছে।রাষ্টু মিয়ার সাথে কথা হয়।তিনি দাবি করেন তার সাথে আর কেউ নেই।তিনি একাই এ কাজ করেন।তার দাবি একটা কিছু করে দুপয়সা রোজগার করি,চুরি তো করি না।ফসলি জমির টব সয়েল কেটে নিয়ে যাচ্ছেন এটা অন্যায় নয় কি?এমন প্রশ্ন করলে তিনি কোন উত্তর দেন নি।মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর আহ্সান জানান তিনি শীঘ্রই বিষয়টি দেখবেন।